বন্দরীনগর চট্টগ্রামের মেয়ে রাফাহ্ নানজীবা তোরসা। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ মুকুট জয় করেন এবং প্রচলিত রীতি ভেঙে ২০১৯ এবং ২০২০ দুবছর ওনার টাইটেল ধরে আছেন। লন্ডনে অনুষ্ঠিত মিস ওয়ার্ল্ডের মূলপর্বে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং হেড টু হেড রাউন্ডে আনেন সাফল্য। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ের ছাত্রী রাফাহ্ নানজীবা তোরসা বহু গুণের অধিকারিনী।অভিনয়,নৃত্য,আবৃত্তি,অংকন,বিতর্ক ও উপস্থাপনায় বেশ পারদর্শী। ৩ বছর বয়স থেকেই তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। ২০১০ সালে জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় মাননীয় প্রথান্মন্ত্রির কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন ঐ একই সালে মার্কস অলরাউন্ডার্স প্রতিযোগিতায় ১০লক্ষ প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে রানার্সআপ হয়ে ছিলেন।
২০০৯ ভরতনাট্যম নাচে স্বর্ণপদক অর্জন করেছিলেন।
বিউটি প্রেজেন্ট থেকে বেরিয়ে যেখানে সুন্দরীরা শোবিজ অঙ্গনে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ব্যস্ত থাকেন,সেখানে ব্যতিক্রম তোরসা।সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কাজে নিজে জড়িত রেখেছেন তোরসা। “The Smile Foundation” নামে নিজের একটি সংগঠন আছে তার।বরাবরের মতো এবারও তিনি তার ‘The Smile Foundation’ দেশের কোভিড পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এবার তাদের কর্মসূচীর স্লোগান “আসুন মায়া ছড়াই”।সারাদেশে তাদের এই কর্মসূচী চলছে।
এবারের কোভিড সময়ে রমজান মাসে মানুষদের সেহরী করাচ্ছেন এবং ছোট ছোট এতিম বাচ্চাদের ইফতার করাচ্ছেন।
দ্য স্মাইল ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর রাফাহ্ নানজীবা তোরসা বলেন,এবারের কার্যক্রম একটু অন্যরকম , কারণ সচরাচর ইফতার যেখানে কম বেশী সবাই পায় সেখানে সেহরী দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং রোজার শুরু থেকে আমরা তাই করছি। যদিও আমরা ইফতার ও বিতরণ করি শহর এবং শহর থেকে অনেক দূরে যেখানে ছোট্ট বাচ্চাগুলো ঠিক মতো খেতেই পায়না । এর মাঝে রাস্তায় প্রতি রাতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমরা দুটো এতিম খানায় আজকের ইফতার বিতরণ করি।এই মায়া ছড়ানোর কাজ অব্যাহত রাখতে চাই আপনাদের সহযোগীতা।এটা আমাদের পুরো দেশে কার্যক্রম চলছে।সামনে আমরা ৩০০ পরিবারকে এক মাসের পুরো বাজার করে দিবো পরিকল্পনা আছে।আমি চাই মানুষের কাছে এই ম্যাসেজটা পৌঁছে যাক।আমাদের যে প্রজেক্ট “আসুন মায়া ছড়াই” এটা শুধু মাত্র কোভিডের সময় না,সব সময় মানুষের প্রতি মায়াটা থাকে,ভালোবাসাটা থাকে এটাই মূল কথা।এই মায়ার জায়গা থেকে যে যেভাবে সম্ভব যেভাবে পারে ডোনেশন দিয়ে পাশে থাকে।আপনারা বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে আমাদের পাশে দাঁড়ান । বিকাশ ও নগদ 01912122794
#thesmilefoundatiom
প্রসঙ্গত,গেলো বছর চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় বেশ কিছু এলাকায় নিজ উদ্যোগে ৬০০ এর অধিক পরিবার’কে সাহায্যএবং এলাকায় রাস্তায় পশুপ্রাণীদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।এবং প্রশাসনের মাধ্যমে অনেক পরিবারের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেন।তাদের দ্য স্মাইল ফাউন্ডেশন মূলত তিনটি বিষয়কে ফোকাস করে।ভ্যালু বেজড এডুকেশন,মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ।