১৯৯২ সালে ‘বলবান’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় তিন দশক পার করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভুলের কারণেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
‘মোহরা’, ‘বর্ডার’, ‘শপথ’, ‘হেরাফেরি’, ‘হু তু তু’, ‘ধাড়কান’, ‘ম্যায় হু না’, ‘কাঁটে’সহ অসংখ্য সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনীল শেঠি। সফলতা পেলেও পরবর্তী সময়ে ব্যর্থতার স্বাদও পেয়েছেন। তার সমসাময়িক অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগন টিকে থাকলেও তিনি অনেকটাই হারিয়ে গেছেন।
সুনীল শেঠি বলেন, ‘আমি অনেকবারই ভেবেছি, আয়ুষ্মান খুরানা ও টাইগার শ্রফের মতো অভিনেতারাও ক্যারিয়ার নিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে। কিন্তু একটা ইমেজ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের ইতোমধ্যে ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই দুজন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই।’
নিজের ভুল প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার সমস্যা হলো টাইপকাস্ট হইনি। শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। বিষয়বস্তু না দেখে শুধু ব্যানার দেখতাম। শুধু এক্স ওয়াই জেডের সঙ্গে কাজ করব, কে পরিচালক দেখতাম। নিজস্ব কোনো বিচারবুদ্ধি ছিল না। আয়ুষ্মান ও টাইগার এদিক থেকে ভিন্ন, তারা বিষয়বস্তু ও পরিচালক দেখেন, ব্যানার নিয়ে মাথা ঘামান না।’
এই অভিনেতা মনে করেন প্রত্যেকের নিজস্ব একটা স্টাইল থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকি না নিতে পারলে আমার কাছে আপনি কোনো অভিনয়শিল্পী নন। নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরি করুন। আয়ুষ্মান, টাইগার, সালমান খানদের দেখুন। তারা সবাই নিজেদের চেষ্টাই সফল। হ্যাঁ, আমরা ভুল করেছি। কিন্তু অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগন এর মধ্যে থেকে বের হয়ে এসেছে। সুনীল শেঠি কয়েক বছর পরই ব্যর্থ হয়েছে কারণ সে বিষয়বস্তুতে বিশ্বাসী ছিল কিন্তু মার্কেটিং ব্যর্থ হয়েছে।’
সুনীল শেঠি মনে করেন, তার অভিজ্ঞতা ছেলে আহান শেঠিকে সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি বক্স অফিস নিয়ে বলার চেষ্টা করছি। আমরা বক্স অফিস ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া প্রথমে দেখি। সুনীল শেঠিকে নিয়ে এখন কেউ ৫০ কোটি রুপির সিনেমা নির্মাণের ঝুঁকি নেবে না। কিন্তু অক্ষয় কুমারকে নিয়ে ৫০০ কোটি রুপির সিনেমা বানাবে।