আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি হ্যান্ডকাফ ও ১০টি মোটরসাইকেল। আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্ততে এ তথ্য জানিয়েছেন যশোর ডিএসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে ইয়ার আলী, যশোরের শার্শা উপজেলার কাজীরবেড় এলাকার আমিন হোসেনের ছেলে তহিদুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলার রঘুনাথপুর ডাঙ্গী গ্রামের সলেমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম, ফরিদপুর সদর উপজেলার মৃগা দক্ষিণপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ওরফে সজল মোল্লা, কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল খালেক খানের ছেলে জাকির হোসেন ও বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম মোল্লার ছেলে ইলিয়াস মোল্লা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শার্শা থানার একটি মোটরসাইকেল চুরি মামলায় তহিদুল ইসলাম নামে পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তারে শুক্রবার রাতে অভিযানে বের হয় ডিবি পুলিশ। এরপর যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর এলাকার বাসা থেকে তহিদুল ও তার সহযোগী ইয়ার আলীকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, ৬টি মাস্টার চাবি ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে চোর চক্রের সদস্য নাজমুলকে আটক ও আরো ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের তথ্য মতে আজ সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা এলাকা হতে একই চোর চক্রের সদস্য শরিফুল, জাকির, ইলিয়াস নামে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের দখল থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। আসামি ইয়ার আলী পুলিশকে জানায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার খানপুর এলাকায় একটি মাছের ঘের থেক একটি নীল রংয়ের পালসার চুরি করে। ওই মোটরসাইকেলের রক্ষিত ব্যাগে হ্যান্ডকাফটি ছিল।
সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করে জানা যায় শ্যামনগর থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি হয়। আসামিদের দখল থেকে চুরি হওয়া সেই মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার হয়।