মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘লকডাউনে’র নামে সরকার বিরোধীদল দমনে ‘ক্র্যাকডাউনে’ নেমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এই অভিযোগ করেছেন। ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, ‘এই লকডাউনকে কেন্দ্র করে তারা (সরকার) একটা ক্র্যাকডাউনে নেমেছে। এই ক্র্যাকডাউনে নেমে তারা সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, আমাদের দলের নেতা-কর্মী, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, ‘‘ক্র্যাকডাউনের এই সুযোগটা (লকডাউন) নিয়ে তারা (সরকার) বিরোধী দলের বাড়িতে হামলা করছে। সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা আহবান জানাচ্ছি অবিলম্বে আমাদের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করুন। দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন, গণতান্ত্রিক স্পেস তৈরি করুন।”
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে হয়রানি অভিযান, রাতে গ্রেপ্তার অভিযান তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে হিসাব পেয়েছি তাতে বিএইপির ১৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পাবনায় একজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তার মৃত্যৃ হয়েছে। আমাদের ছাত্র দলের গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮১ জন, যুব দলের গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩০ জন, স্বেচ্ছাসেবক দলের গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ জন। আগে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু গতকাল জামিনে মুক্ত হলেও জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করে আবার পুলিশ নতুন করে মামলা দিয়েছে, আমাদের দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকেও একভাবে নতুন করে আরেকটি মামলায় জড়িত করে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটা কর্তৃত্ববাদী এক দলীয় সরকারকে পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যে তারা শুধু বিএনপি নয়, শুধু বাম জোট নয় বা অন্যান্য দলগুলো নয় বা ইসলামী দলগুলো নয় বা হেফাজত নয়।