কড়াকড়ির কারণে বুধবার (১৪ এপ্রিল) দিনের বেলা রাস্তাঘাটে লোক চলাচল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত ছিল। তবে এদিন সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে জটলা করতে দেখা গেছে। কিশোর থেকে মধ্যবয়সী এমকি বৃদ্ধদেরও পদচারণা ছিল বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে। এছাড়াও প্রথম রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় কিছুটা আনন্দ করতে বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়েছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মোটেও তোয়াক্কা করছেন না তারা।
রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, মিরপুর ১ নম্বর, কল্যাণপুর ও শ্যামলী এলাকায় সন্ধ্যার পর সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, একদিকে লকডাউন সেই সঙ্গে ছিল প্রথম রোজা। তাই সারা দিন বাসা থেকে বের হইনি। ইফতারের পর বাসা থেকে বের হয়েছি। কিছুক্ষণ আগেও পুলিশের একটি গাড়ি এসেছিল। গাড়িটি চলে যাওয়ার পর আমরা আবারও কিছুক্ষণ আড্ডা দিচ্ছি। একটু পরে চলে যাবো।
এদিকে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ছিল না তেমন গাড়ির চাপ। দু-একটি প্রাইভেটকার কিছু সময় পর পর দ্রুত গতিতে ছুটে চলে নিজস্ব গন্তব্যে। এ ছাড়া সিএনজি চলছে। অনেকেই মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন। তবে রাজধানীজুড়ে অবাধে চলছে রিকশা।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লকডাউনকে কেন্দ্র করে থানা এলাকায় মোবাইল পেট্রোলিং কাজ করছে। এলাকায় গিয়ে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর দোকান খোলা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।