নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার এবং পরশু মঙ্গলবার যথারীতি কেবল দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় শর্তসাপেক্ষে সমন্বিত ভাড়ার অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলবে এবং দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’। দেশের মানুষকে এই সংকটকালে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সামান্য অবহেলা আমাদের চিরচেনা জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে। পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজনের এই মায়াময় পৃথিবী হয়ে যেতে পারে অচেনা’।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে আমাদের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখুন স্রষ্টার প্রতি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন সকলের প্রচেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এ মহামারি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আবারো ফিরবে পৃথিবী নিজ রূপে’।
সেতুমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরটিসিকে এগিয়ে নিতে এর বহরে সহস্রাধিক বাস ও ট্রাক সংযোজনসহ নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন এখন প্রয়োজন বিআরটিসির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়ন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি বিআরটিসিসহ পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনসমূহকে সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবহন চালানোর অনুরোধ জানান।
করোনা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রথম দফায় করোনা নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী বুধবার (১৪ এপ্রিল) সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে হবে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে’।
তাহলে ১২ ও ১৩ এপ্রিল কী হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘প্রথম ধাপের বা চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল’।
‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে।’ তিনি বলেন, ‘১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন, এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সকলকে ঘরে অবস্থান করতে হবে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে’।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ সরকার সময়মতো প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।