খুলনা জেনারেল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার প্রস্তুতি শেষ হয়নি এখনো। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন প্লান্টের যন্ত্রপাতি আনা হলেও অর্থের অভাবে সেগুলো স্থাপন করা হয়নি। ফলে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ শয্যা ও ১৮ টি হাইফ্লোনজেল ক্যানোলাই খুলনায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের অন্যতম ভরসা। খুলনার ২ শ ৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে। ফলে জায়গা কম থাকছে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহম্মদ বলেন, ‘২৫০ শয্যার একটি সদর হাসপাতাল আছে, সেখানে ১২ টি আইসিইউ এবং ৩০টি সাধারণ করোনা বেডের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। যেকোন সময় যেন রোগী ভর্তি করা যায় সেজন্য প্রতিটি উপজলোয় পাঁচটি করে বেড আমরা সচল করেছি।’বন্দর ও শিল্প নগরী খুলনায় করোনা চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যার আইসিইউ বেড নিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালই অন্যতম ভরসা।খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা এবং আইসিইউ এর জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই একান্তই প্রয়োজন। এটা ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমরা যেটা করছি তা হলো জোড়াতালি দিয়ে সব চালাচ্ছি।’মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য বরাদ্ধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে। রোগীর চাহিদা বাড়ায় করোনার চিকিৎসার জন্য নিদির্ষ্ট এই হাসাপাতালের আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে অক্সিজেন প্লান্ট। প্লান্টের সব যন্ত্রপাতি বেশ আগেই সরবরাহ করা হয়েছে। শুধু সেগুলো স্থাপনের টাকা মন্ত্রনালয় থেকে ছাড় না পাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের সমন্বয়কারী।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘মন্ত্রণালয় যখন আমাদের পাঠানো চাহিদাগুলো নিশ্চিত করবে তখনই এর কাজ শুরু হবে। একটা রেড জোন তৈরি করাটা জরুরি। এটা ছাড়া কোনভাবেই আমরা সেবা দিতে সক্ষম হব না।’
অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হলে প্রস্তত থাকা আরো ৩৭ টি আইসিইউ বেড সংযুক্ত হবে সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের সেবায়। খুলনায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮শ ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১শ ২২ জন।