আসছে এমন খবরে রাজধানী ছাড়ার হিড়িক পড়েছে মানুষের মধ্যে। লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে আটকে পড়ার ভয়ে ঢাকা ছাড়ছেন এসব মানুষ। সড়ক, ফুটপাতে মানুষ চলাচল অনেক গুণ বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে- এমন আশঙ্কায় রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। গতকাল শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলের পর শুরু হয়েছে মানুষের ঢাকা ছাড়ার ঘটনা। বিশেষ করে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী টার্মিনালের দিকে মানুষের ঢল নামে। মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায় টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। রাত পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই দলে দলে মানুষকে দেখা গেছে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হতে।
সড়কের মতো একই অবস্থা দেখা গেছে নৌপথেও। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল নামে লঞ্চ টার্মিনালে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে লোকজন ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে। সড়কে যানবাহনের সংকট থাকায় ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে তারা যাচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে। নৌপথেও নৌযান সংকট দেখা গেছে। লৌহজং ও শ্রীনগরের কয়েকটি স্পট থেকে যাত্রীরা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে এসব ট্রলারে করে।
একই চিত্র দেখা গেছে রেলস্টেশনে। অন্যান্য দিনের তুলনায় লকডাউনের ঘোষণায় আজ রাজধানীর রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে অনেক বেশি।
এদিকে, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে ভিড় আর গণপরিবহনের ঠাসা অবস্থা থেকে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।