শনিবার (৩ এপ্রিল), সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
অর্থাৎ আগামী ৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশ লকডাউনের আওতায় থাকবে।
তবে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনা রোধ করার স্বার্থে সরকার সারা দেশে দুই-তিন দিনের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে পারে। এসময় জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর শিফটিং ডিউটির শর্তে শিল্প ও কলকারখানা খোলা থাকবে। শ্রমিকরা এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফটিং ডিউটিতে কাজ করতে পারবে।’
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দেশে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া একইদিন ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জন এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দুই মাসের ‘লকডাউনে’ জনজীবন একপ্রকার অচল ছিলো। এরপর সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে বিধিনিষেধও ধীরে ধীরে শিথিল হতে থাকে। এ বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশে দৈনিক শনাক্তের হার নেমে এসেছিলো তিন শতাংশেরও নিচে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে আবার দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। যার ফলে প্রতিদিন রোগী বাড়তে থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ঢাকার হাসপাতালগুলোকে।
এরইমধ্যে ৩১টি জেলাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এছাড়া, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/ শিল্প কারখানা অর্ধেক জনবল দিয়ে চালাতে বলা হয়েছে। আর তিন পার্বত্য জেলা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটার সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য বাদে পুরো ইউরোপ এবং আরও ১২টি দেশ থেকে যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা অবিলম্বে বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।