করোনা আতঙ্ক সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশন শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। মাত্র তিন কার্যদিবসের এই অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল উত্থাপন ও পাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদ অধিবেশনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত হয়েই সংসদ সদস্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত স্বল্প সংখ্যক সংসদ সদস্য অধিবেশন কক্ষে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন। সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এরআগে মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ অন্যদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন মূলতবি করা হবে।
শোক প্রস্তাব উত্থাপনকালে স্পিকার বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্যসহ করোনা আক্রান্ত হয়ে ও বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে মহান জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিতরা হলেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক ও বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদ আরা মান্নান।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অধিবেশন ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চালানোর কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। যা তিন কার্যদিবসে, অর্থাৎ ৪ এপ্রিল শেষ হতে পারে। এরআগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আহুত সংসদের বিশেষ অধিবেশন ও চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনসহ গত ৬টি অধিবেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয়।
প্রতি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।