পাকিস্তানের লাহোরের এক নিষিদ্ধপল্লী থেকে উঠে আসা এক যৌনকর্মী হিল্লোল তুলেছিলেন ৬-৭ এর দশকে। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি দেশের সবচেয়ে দামী অভিনেত্রীর খেতাবও পেয়েছিলেন তিনি। তবে হায়! সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। নিজের মায়ের চক্রান্তেই স্বামীর হাতে শেষ হন তিনি।
অভিনেত্রীর নাম ছিল নিজ্ঞো ওরফে নার্গিস বেগম। পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম হয় নার্গিসের। মা ছিলেন যৌনকর্মী। মুজরাতেও পারদর্শী। ছোট থেকেই নাচ-গানে পারদর্শী নার্গিসও খুব অল্প বয়স থেকেই মায়েরই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। এমনই এক পারফরম্যান্সের সময় এক প্রযোজকের নজরে পড়েন তিনি। অভিনেত্রী হওয়ার সুযোগ মিলে নিমেষে।
ফিল্মি দুনিয়ায় অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই নাম হতে শুরু করে তার। ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়েই প্রযোজক খজা মাজহারের প্রেমে পড়েন নার্গিস। বিয়েও করেন। তবে নার্গিসর মা এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। যৌনকর্মীর মেয়ে তার পেশাকেই গ্রহণ করবেন, এই ছিল তার ইচ্ছে।
জানা যায়, মেয়ে ও জামাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট করতে উঠেপড়ে লাগেন নার্গিসের মা। অসুস্থ হওয়ার অভিনয়ও করেন। ওদিকে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে যান নার্গিস। মা তাকে বাধ্য করেন হীরামান্ডির অন্ধকার গলিতেই থাকতে। বারবার করে ছুটে যেতেন স্বামী মাজহার। মায়ের কথা ফেলতে না পেরে সেখানেই থাকা শুরু করেন নার্গিস।
অতঃপর ১৯৭২ সালের ৫ জানুয়ারি তার স্বামী শেষবারের মতো কোঠায় যান নার্গিসকে ফিরিয়ে আনতে। বাড়ি ফেরার জন্য জোর দিতে থাকেন। নার্গিস চাননি। শুরু হয় বাকযুদ্ধ। স্বামীর সঙ্গে ছিল বন্দুক। রাগের মাথায় চালিয়ে দেন গুলি। মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন নার্গিস। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যুমুখে ঢলে পড়েন তিনি। স্বামী নাকি মা? নার্গিসের মৃত্যুতে কে খুনি, এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ঘর-পরিবার চেয়েছিলেন নার্গিস, পেয়েওছিলেন। তবু স্থায়ী হয়নি কিছুই। সব পেয়েও সব হারান ললিউডের এই নায়িকা!
খবর : ইন্টারনেট