মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসির টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষা হচ্ছে না। আজ রবিবার (২১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এ তথ্য জানিয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়নে আগ্রহী এবং ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চার বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যরা প্রতিষ্ঠানপ্রধান বরাবর আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তথ্যসংবলিত সম্ভাব্য তালিকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আগামী ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হবে। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ শুরু হবে। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আর বিলম্ব ফিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে এখনো পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। জানা যায়, এরই মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬০ কর্মদিবসের উপযোগী করে সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। স্কুল খোলার পর ৬০ কর্মদিবস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের কথা রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের সংশয় দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ফরম পূরণ শুরু করার নির্দেশনা দিলো বোর্ডগুলো।
এবার এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা, ব্যাবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা এবং জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ফরম পূরণের বিলম্ব ফি হিসেবেও ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসির ফরম পূরণ বাবদ সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৫০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৫০ টাকা ফি নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।