রাঙ্গাবালীতে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়েও শিশু লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা যায়নি। এদিন গ্রেফতার অটোচালক আল আমিন শিশুটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আল আমিন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। বিকাল ৩টা ২০ মিনিট থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জবানবন্দি গ্রহণ করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমান। পরে তাকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পেনাল কোড ২ ধারায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। এতে আল আমিনকে প্রধান ও একমাত্র আসামি করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সোমবার সকাল থেকে আবারও নদীতে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে অভিযান চালানো হয়। বিকাল ৪টা থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও। এছাড়া শিশুটির স্বজন ও প্রতিবেশীরাও লাশের সন্ধানে নদীতে নেমেছে। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার লাশ পাওয়া যায়নি।
লামিয়ার চাচা বলেন, মেয়েটার লাশ এখনও পাইনি। নদীতে নৌকা-ট্রলার নামানো হয়েছে। আমরা খোঁজাখুঁজি করছি। মামাতো ভাই বলেন, আমরা সারাদিন নদীতে নৌকা নিয়ে মাইকিং করেছি। ওর বাড়ির সবাই শোকে পাথর। লাশ না পেয়ে তারা আরও ভেঙে পড়েছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, নদীটি অনেক বড়। পাশে সাগরও রয়েছে। পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। কোস্টগার্ডকেও আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। লাশ উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা। তিনি আরও বলেন, আসামি আল আমিন আদালতে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে শুক্রবার রাতে বাজার থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় শিশু লামিয়া। পরদিন শনিবার একটি পুকুরপাড়ে তার জুতা এবং বিলে ওড়না পাওয়া যায়।