আরবের কাছে হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। তখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনাও দেখেছিলেন অনেকে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পরের পাঁচ ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে গেছে আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লিওনেল মেসির দল।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর হুলিয়ান আলভারেজকে ফাউল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন মেসি। বিশ্বকাপ আসরে এটি মেসির ১১তম গোল। গোলটির মাধ্যমে তিনি স্বদেশী গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার ১০ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেন। এটি চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম গোল আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।
মেসির গোলের ৫ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেজ। কাউন্টার অ্যাটাকে বল পেয়ে মাঝমাঠ থেকে কয়েকজনকে বোকা বানিয়ে গোলটি করেন এই ম্যানসিটি তারকা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পরও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে আলবিসেলেস্তেরা। ৬৯তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি করেন আলভারেজ। এবারের আসরে এটি আলভারেজের চতুর্থ গোল। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আলভারেজকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে নামানো হয় পাওলো দিবালাকে। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই ক্রোয়েশিয়ার কাছেই বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। আজ সেই হারের প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেল মেসিদের। ফাইনালে মেসিদের প্রতিপক্ষ কারা তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বিজয়ী দলের সঙ্গেই রবিবার ফাইনাল খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসির। বিশ্বকাপ জেতার আরো একটি সুযোগ মেসির সামনে।