গণসমাবেশের জন্য বিএনপি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আন্দোলনকে বাধা দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ডিএমপি এখনো সমাবেশের স্থান ঠিক করে দেয়নি। আমরা খুব পরিস্কার করে বলেছি, সবসময় আমাদের কোনো আয়োজন নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনেই করি, তাই অবশ্যই ১০ তারিখের সমাবেশ নয়াপল্টনেই করব।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ সবাইকে বলতে চাই কোনো ঝামেলা করে আমাদের আয়োজন নষ্ট করবেন না। আমাদের এই সমাবেশ যাতে করতে পারি এই ব্যবস্থা আপনারা করবেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বটা এখন সরকারের। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ে কথা বলেছি। আমরা একমত হয়েছি সবাই যুগপৎ আন্দোলন করব, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। খুব শিগগিরই এগুলো সামনে আসবে। জাতি আজকে ঐক্যবদ্ধ। জাতি ঐক্যবদ্ধভাবেই এই সরকারের পতন চায় এবং সত্যিকার অর্থেই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে একটা কল্যাণমূলক সরকার যারা জনগণের জন্য কাজ করবে তাদেরকে চায়।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সামনে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই। এখন বাজারের দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট, এদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রিজার্ভের ব্যাপারে তাদের (সরকার) যে তথ্য-উপাত্ত, আইএমএফ এসে তাদের থলের বিড়াল বের করে দিয়েছে। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের দিকে যদি তাকিয়ে থাকেন-এক লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ। তাদের আবার সুবিধা দিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি যেভাবে একসময়ে ভারতকে লুট করেছে, দুর্ভাগ্য্যজনকভাব গত এক দশকে আমাদের এই শাসকরা ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির মতো পুরো দেশটাকে একটা লুটের বাজারে পরিণত করেছে। এই লুটের কোনো টাকা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে নেই। বাংলাদেশে কোথাও কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। তারা পুরো দেশটাকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার পুরো শাসনব্যবস্থার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে এমনভাবে সুবিধাভোগী করে দিয়েছে, মানে অবাধ লুটপাটের সুযোগ দিচ্ছে যাতে করে এই শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন অঙ্গগুলো তাকে রক্ষা করার জন্য তৎপর থাকে। খেয়াল করে দেখবেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের অবাধে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ করেননি সেটা তাদের ব্যক্তিগত সততা।