বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেল ৫টায় জমিসংক্রান্ত সালিস শেষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন। নিহত ওই কৃষকের নাম মো. ইউসুফ চৌকিদার (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের শের আলী চৌকিদারের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউসুফ চৌকিদার ও প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আজ বিকেল ৫টায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের জমি নিয়ে সালিস-বৈঠকে বসেন। সালিস শেষে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ঘটে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ ধারালো দা দিয়ে ইউসুফ চৌকিদারের মাথায় কোপ দেয়। এতে তার খুলি ফেটে মজ্জা বের হয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, জমি নিয়ে অনেক বছর ধরে প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে তাদের বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন তারা উভয় পক্ষ এই বিরোধ মেটানোর জন্য সালিস ডাকেন। সালিস শেষে তারা বাড়ি ফেরার সময় পুনরায় ওই জমি নিয়ে তার স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ সলেমান চৌকিদারের ছেলে রাহাত (২০) একটি ধারালো রামদা দিয়ে তার স্বামীর মাথার ডান পাশে কোপ দেন। এতে তার স্বামী ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। তার মাথার খুলি ফেটে ভেতরের সব কিছু বেরিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তাৎক্ষণিক হানিফ চৌকিদার (৬০), রিমন (২২), হাবিব মাস্টার (৫৮), রানী বেগম (৪০), মহারাজসহ (৪০) আরো চার-পাঁচজন তার স্বামীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তারা গুরুতর অবস্থায় তাকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সালিস শেষে চলে আসব, এমন সময় পুনরায় তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষরা ধারালো দা দিয়ে ইউসুফ চৌকিদারের মাথায় কোপ দেয়। কোপের আঘাতে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। ’
এ ঘটনায় বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারকে থানায় এনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।