গত শনিবার রাতে কালাদহ ইউনিয়নের হোরবাড়ি গ্রামের বানার নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) নিহতের বড় ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে শাকিলসহ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামনগর জোরপুকুর পাড় গ্রামের মৃত আ. হাইয়ের ছেলে মামুন হাসান। সরকারি তিতুঁমীর কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী কালাদহ ইউনিয়নের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক চলছিল। মামুন হাসানের প্রেমিকার ছোট বোনের সাথে অভিযুক্ত শাকিলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়েও করে। এর সপ্তাহ খানেক পর পারিবারিকভাবে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রেম ও বিয়ে সংক্রান্ত এসব বিষয় নিয়ে মামুন ও শাকিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
তারা আরো জানান, রাতে মামুন খাবার খেয়ে মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। প্রায় চার কিলোমিটার দূরে রাত দশটার দিকে হোরবাড়ির উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে মেহগণি বাগানে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পথচারিরা। লাশের পাশে রক্তমাখা এক যুবককে চাকু হাতে দেখে পথচারিরা তাকে আটক করে বেঁধে ফেলেন। এ সময় একজন পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় ছোট ভাই মামুনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার ঘটনায় জড়িতের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ‘
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চাকু দিয়ে বুকে একাধিক আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ শাকিলকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ‘