দাম নিয়ে অস্থিরতা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
গত কয়েক মাস ধরেই ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবশেষ ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা ঠিক করে দিয়েছে যা কয়েক মাস আগেও ৮০ টাকার ঘরে ছিল।
প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার টাকার অবমূল্যায়নও হচ্ছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আন্তব্যাংক লেনেদেনের ক্ষেত্রে যে দর ঠিক করেছে, খোলাবাজারে দাম তার চেয়ে বেশি।
সম্প্রতি খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছে রেকর্ড ১১২ টাকা। এমনকি ব্যাংকগুলোও ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দর রাখছে যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ৯ থেকে ১৪ টাকা বেশি। এক দিনেই দাম বাড়ে ৭ টাকা, যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
ডলারের দামে এই অস্থিরতা ঠেকাতে উদ্যোগ নিতে গভর্নরকে অনুরোধ করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রধান।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের দাম চড়া করে যেসব মানিচেঞ্জার ও ব্যাংকগুলো মুনাফা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
মুখপাত্র বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে গতকাল (বুধবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি টিম মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো পরিদর্শন করে। এসময় কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যংকের কর্মকর্তাদের।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এ কাজে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।