বিভাগের কোথাও কোথাও প্রবল বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগেও ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এসব স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে বাসস জনিয়েছে, অতিভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সাথে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী দুই দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। পরের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রকোপ কমতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফে ১২৮, সীতাকুণ্ডে ১১১, সন্দ্বীপে ৯৩, রাঙামাটি ৯২, কুতুবদিয়া ৭৮, বগুড়া ৭৪, ফেনী ৭২, কক্সবাজার ৬৭, কুমিল্লা ৫২, চাঁদপুর ও গোপালগঞ্জ ৫০ এবং ভোলা ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
এদিকে এক বুলেটিনে বলা হয়, নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টে পানির স্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং ১৯টি পয়েন্টে পানির স্তর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।