বন্যা পরিস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরন, চিকিৎসা ও ঔষধ, গৃহনির্মাণ ও কৃষকদের বীজতলা তৈরি করাসহ বিভিন্নভাবে বন্যার্তদের সহযোগিতা করবে বিএনপি।
রবিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে আলাদা আলাদাভাবে স্ট্যায়ারিং কমিটি করে প্রতিটি সংগঠনের ত্রাণ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য সেবা তদারিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে যৌথসভায়।
বিএনপির জাতীয় ত্রাণ কমিটির প্রধান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
সভা শেষে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির বিষয় আমরা যেন সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেই। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে এখন আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জন্য কাজ করা। এটা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিলেট মহানগর, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ছাতকসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা রিলিফ অপারেশন শুরু করেছে। সিলেট থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজার বন্যার্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় নৌকা ভাড়া করে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, প্রায় ১০০ মতো নৌকা কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, ছাতকে বন্যা কবলিত এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীরা ১০ লাখ টাকা তুলে মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। এভাবে বিএনপি গণমানুষের দল হিসেবে আমরা মানুষের পাশে আছি।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের বন্যা পরিস্থিতিকে তিনভাবে ভাগ করা হয়েছে। এখন যারা পানি বন্দি মানুষজন আছেন তাদেরকে উদ্ধার করে তাদের কাছে খাবার পৌঁছিয়ে দেওয়া। বন্যার পানি নেমে গেলে মানুষজনের গৃহ নির্মাণ, তাদের খাবার ও ঔষধপত্র বিতরণ করবে বিএনপি।
কৃষি জমি তলিয়ে গেছে বন্যায়। যাতে পানি নেমে গেলে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য কৃষক বীজতলা তৈরি করে তাদের সরবারহ করবে বিএনপি। ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন রোগ বালাইয়ের চিকিতসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ, বিশুদ্ধ পানির টেবলেট বিতরণ করবে।