ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকায় একটি বাসায় চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে সেই বাসার গৃহকর্মী জোসনা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, ওই গৃহকর্মী তার কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের যোগসাজশে ওই বাসায় কাজ করার ছলে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। জামাল উদ্দিনকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান শুক্রবার (২৭ মে) সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত গৃহকর্মী জোসনা বেগম বাসাবাড়িতে কাজ করার ছলে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় আরও একটি মামলা রয়েছে; যার ওয়ারেন্ট জারি রয়েছে। আর তার কথিত প্রেমিক জামাল গাড়িচালক। মূলত পরিকল্পনা করেই বাসাটিতে কাজে যায় জোসনা। পরবর্তী সময়ে সুযোগ বুঝে বাসা থেকে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জোসনা ও তার প্রেমিক জামালকে ২৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে জোসনার এক আত্মীয়ের বাসার পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে এই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান আরও বলেন, গত ২১ মে বসুন্ধরা এলাকার এক বাসিন্দা ভাটারা থানায় অভিযোগ করেন। বাসার গৃহকর্মী জোসনা আক্তারকে সন্দেহভাজন উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। অভিযোগে বলেন, বাসা থেকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
বাসায় গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়ার সময় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য, যেমন তার ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহে রাখার কথা উল্লেখ করে সাজেদুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই বাসার কাজের লোকদের বিষয়ে উদাসীন। এ বিষয়ে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।’
ভুক্তভোগী জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী। বাসায় তার বৃদ্ধা মা ছাড়া কেউ থাকে না। গৃহকর্মী সাপ্লাই দেওয়া সোর্সের মাধ্যমে জোসনা তার বাসায় কাজ নেয়।