রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন

প্রস্তুত থাকতে হবে শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ করবো না। জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়— সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে। কখনও যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি, প্রতিরোধ করতে পারি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি।

মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শরিয়তপুরের জাজিরায় নতুন এই সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আমি জাপানে গিয়েছিলাম। তখন তাদের পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানাই এবং তারা রাজি হয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং আমি পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি ২০০১ সালে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মাসেতুর নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়। তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে পদ্মা সেতু মাওয়া-জাজিরা থেকে সরিয়ে নিতে চায়। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরে আবার উদ্যোগ নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দেয়, একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে— (পদ্মা সেতু প্রকল্পে) দুর্নীতি হয়েছে। সেটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই এবং তাদের বলি, এটা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু তারা তা পারেনি।

তিনি বলেন, কানাডা আদালতের মামলার রায়ে প্রমাণ হয় এতে কোন দুর্নীতি হয়নি ও সম্ভবনাও ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই, কারও অর্থায়নে নয়, যেহেতু মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। এর জবাব আমরা দিবো। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করবো। এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকেই মনে করেছিল এটা আমরা পারব না। কিন্তু মানুষের সমর্থন ও সাহস পাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া বন্ধুপ্রতীম দেশও আমাদের সহযোগিতা করেছে।‘

পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের জিডিপিতে আরও এক থেকে দুই ভাগ সংযুক্ত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে আমরা উন্নয়নে আরও একধাপ এগিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি; যার কাজ শিগগিরই সম্পন্ন হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এক্ষেত্রে শেখ রাসেল সেনানিবাস ভবিষ্যতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং সেনানিবাসের আশেপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কাজে নিয়োজিত থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানে সফলভাবে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সেনানিবাসের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড ও অধীনস্থ ইউনিটসমূহ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজ শেখ রাসেল সেনানিবাস একটি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়েছে; যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সকল প্রকার প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.