সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন যে সংলাপ করছে তাতে বিএনপি যাবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার সকালে জিয়া পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেই বলেছি এই ইসি গঠন প্রক্রিয়া বা কোনো কিছুর (সংলাপ) মধ্যে আমরা নেই, থাকব না। যত ভালো ইসি হোক না কেন এই ইসির পক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়।
সেজন্য আমাদের এটাতে (সংলাপ) আগ্রহী নই। কাকে ডাকল, কাকে ডাকল না। তারা কি বলছেন, কারা যাচ্ছেন না। আমাদের একটাই মাত্র দাবি নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের উপস্থিতি।
নতুন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের মনে আছে যখন ইসি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার এবং রাষ্ট্রপতি যখন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে ডাকা শুরু করলেন তখনই আমরা বলেছি এই ইসি পূর্ণ গঠন ব্যাপারটা এটা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অতীত অভিজ্ঞতায় নির্বাচনকালীন সময়ে কি ধরনের সরকার থাকবে সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, সংলাপে সুশীল সমাজেরও কোনো আগ্রহ নেই। গত দুইটা-তিনটা নির্বাচন এবং একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে যেটা হচ্ছে সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে নির্বাচনের সময়ে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মূল্য হ্রাসের দাবিতে যে আন্দোলন করছি সেখানে কিন্তু গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ রয়েছে। আমরা যেকোনো গ্যাস-বিদ্যুত-পানির মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী। এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগকে আমরা মনে করি গণবিরোধী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষের এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমসিম খাচ্ছে। সেখানে আবার যদি পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় তাহলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। এটার একটা ইন্টারলিংক আছে। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করি না। আমরা নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সকাল সাড়ে ১১টায় জিয়া পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ও মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ হোসেনের নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করে।