পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দুই বছর বিরতির পর ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে শুরু হওয়া বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক।
সংলাপ শেষে দুপুরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, র্যাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরকম নিষেধাজ্ঞায় সন্ত্রাসবাদ বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
পরে র্যাবের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি জানান, এই সংস্থাটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তবে গত তিন মাসে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এর আগে, সংলাপের শুরুতে তিনি জানান, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার হুমকিতে পড়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে ঢাকাকে আরও কাজ করতে হবে বলেও জানান ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। এছাড়া করোনা মোকাবিলা ও টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার পর এই সংলাপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জিএসপি পুনর্বহাল করা, শুল্ক ও কোটামুক্ত বাংলাদেশি পণ্যে প্রবেশাধিকার, দুই দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক পর্যায়ে সফর, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, সামরিক চুক্তি, শ্রম অধিকার, সরাসরি ফ্লাইট চলাচল, করোনা পরিস্থিতি, সুনীল অর্থনীতি আলোচনার কথা রয়েছে।