মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন বই এসেছে তিন হাজারের বেশি। বাংলা একাডেমির দেয়া তথ্য মতে, গতবারের মেলার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্য থাকলেও, এবার প্রত্যাশার চেয়ে বই বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি।
এবারের মেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে কবিতার বই প্রায় এক হাজারের বেশি। তবে বিক্রিতে শীর্ষে উপন্যাস, গল্প আর প্রবন্ধের বই।
প্রকাশকদের দেয়া তথ্য মতে এবারে সবচেয়ে কম বিক্রি হয়েছে কবিতার বই। এছাড়া মেলায় নতুন লেখকদের প্রচুর বই আসলেও পাঠকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে জনপ্রিয় লেখকরাই ছিলেন।
আগামী বছর মেলার পরিসর আরও বাড়ানো হবে, বাড়বে স্টলের সংখ্যাও, বলছে বাংলা একাডেমি।
১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেইটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেন।
১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।
১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা আর করা যায়নি। পরের বছর ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সূচনা হয়।