বাড়তি আয়ের জন্য ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ পাঁচ কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। রোববার রাতে সদর থানা পুলিশ তাদের বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটকান্দি ব্রিজের কাছে একটি বাগান থেকে গ্রেফতার করে।
তাদের কাছে একটি ২৮টি ইঞ্চি ড্যাগার, একটি ২০ ইঞ্চি ছোরা, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, পাঁচটি বড় পটকা ও তিনটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ডাকাতির ধারায় মামলা করেছেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সোমবার দুপুরে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার ডাকাতরা হলো- বগুড়া শহরের সেউজগাড়ির ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ইসতিয়াক ইব্রাহিম ইমন (২০), একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম হোসেন বাঁধন (২৫), শহরের ঠনঠনিয়া স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার ফিরোজ পশারী রানার ছেলে পারভেজ পশারী রোহান (২০), পুরান বগুড়ার আয়নুল হকের ছেলে আহসান হাবিব বাবুল (২০) এবং একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম তানিম (২০)। এর মধ্যে তানিম এবার এসএসসি পাশ করেছে; অন্যরা শহরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
পুলিশ সুপার জানান, সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। রোববার রাত ১০টার দিকে গোপনে খবর পাওয়া যায়, শহরের ভাটকান্দি ব্রিজের কাছে একটি মেহগনি বাগানে ৮-১০ জন যুবক অবস্থান করছে। এরপর সদর থানা পুলিশের একটি দল চারদিক থেকে বাগানটি ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের কয়েকজন অন্ধকারে পালিয়ে গেলেও ইমন, বাঁধন, রোহান, বাবুল ও তানিমকে গ্রেফতার করা হয়। শরীর তল্লাশি করে ইমনের কাছে একটি ছোরা, বাঁধনের কাছে একটি ড্যাগার, রোহানের কাছে একটি চায়নিজ কুড়াল, বাবুলের কাছে একটি বার্মিজ চাকু ও তানিমের কাছে সলতেসহ পাঁচটি বড় পটকা পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের কাছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কলেজ ও স্কুল ছাত্ররা জানায়, তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ওই বাগানে অবস্থান করছিল। তারা লেখাপাড়ার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য সংঘবদ্ধ গ্রুপ গঠন করে। ওই গ্রুপের মাধ্যমে তারা ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকে।
সদর থানায় ওসি আরও জানান, এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে মামলা হয়েছে।