২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ পিলখানা হত্যাকান্ড। সেদিন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতেই ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতেই আধিপত্যবাদী শক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুড়িলে স্থানীয় মিলনায়তনে পিলখানা ট্রাজেডির ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে যুব জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতি হিসাবে আমাদের দুর্ভাগ্য, দীর্ঘ পাচ দশকেও বাংলাদেশ ঘর সামলাতে সক্ষমতা অর্জন করে নাই। পারে নাই শক্ত মাটিতে পা রেখে চলতে। কে বাংলাদেশের বন্ধু এবং কে শত্রু তাও সঠিকভাবে নির্নয় করতে পারে নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যে রাষ্ট্রের জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত প্রান্তরে, সেই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ শুকুনীর কালো থাবায় ক্ষত-বিক্ষত।
জাগপা সভাপতি আরো বলেন, শাসকগোষ্টি যদি ক্ষমতায় টিকে থাকতে আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী শক্তির কাছে নিজেদের বিবেক-বিবেচনা বন্ধক দেয় তাহলে ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাতির জন্য অপেক্ষা করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রের প্রশ্নে যারা আপোষ করবে তাদের স্থান হবে ইতিহাসের আস্তকুরে।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের নায়ক শফিউল আলম প্রধানের দেখিয়ে যাওয়া পথেই রাজপথে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ঘড়ে তুলতে হবে।
যুব জাগপা সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাগপা প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ জামাল উদ্দিন, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইবরাহিম খলিল রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, যুব নেতা তাজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মাউরুন হক, আতিকুর রহমান আতিক, দেলোয়ার হোসেন, ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।