বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ডলার। যা আগের বছর ছিল ২ হাজার ৫২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা চলতি বছরে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ১২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসিদের রেমিটেন্স পাঠানো কমেছে ২০ শতাংশ।
আর গত অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্য যেখানে উদ্বৃত্ত ছিল সেখানে চলতি বছরে একই সময়ে তা ঋণাত্বক হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন অস্বস্তিতে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এগুলো সব মিলিয়ে আমাদের প্লাস থাকতো, কিন্তু গত ২ মাস ধরে প্লাস নেই। এটা নেগেটিভ হবে সে কারণে আমাদের এক্সপোর্ট বাড়াতে হবে। এই কারণে আমরা চিন্তিত।
বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের ভারসাম্য দীর্ঘ সময় ধরে নেতিবাচক থাকলে তা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, সেটার প্রভাব আমরা টাকার মূল্যমানের ওপর দেখতে পাচ্ছি। দ্বিতীয়ত যেটা হয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। সো এটা ভালো করে দেখা দরকার। আরেকটা প্রভাব হলে নেট ফরেইন এসেট কমে যাচ্ছে।
বাণিজ্য ঘাটতি বেশি হলে বিনিয়োগ ঝুঁকি বাড়ে এবং বিদেশি বিনিয়োগ অনিশ্চয়তায় পড়ে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।