টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়ায় তামান্না আক্তার নূরাকে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
বুধবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহার মাধ্যমে মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত অভিনন্দনপত্রটি তামান্নার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তামান্নার উচ্চশিক্ষা ও পরবর্তী স্বপ্নপূরণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সবসময় পাশে থাকবে বলে অভিনন্দনপত্রে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ফোন করে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন।
এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তামান্নার বাড়িতে গিয়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন। তার বাড়ি অতিথিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
তামান্না নূরা বলেন, আমার জীবনে বড় প্রাপ্তি এই যে, সরকারের মন্ত্রী আমার খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমার অনেক ভালো লাগছে। আগে নিজেকে অসহায় মনে হলেও এখন নিজেকে একা মনে হচ্ছে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই আমার পাশে রয়েছেন। আমাকে শুভেচ্ছাপত্র পাঠানোর জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তামান্নার বাবা রওশন আলী বলেন, তামান্নার অদম্য ছুটে চলার পথে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সরকারের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তামান্নার স্বপ্নপূরণের প্রতিশ্রুতিতে মেয়ের মতো আমিও খুশি। মেয়ে খুব কষ্ট করেছে। তার স্বপ্নপূরণে সবাই এগিয়ে আসছে, যা আমি জীবনে কল্পনাও করিনি। খুশিতে আমার বুকটা ভরে যাচ্ছে। তামান্না যেন তাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারে। সে জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা বলেন, তামান্না নূরা আমাদের সমাজের অনুকরণীয়। সেই সঙ্গে অনুপ্রেরণার অনন্য উদাহরণ।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় তামান্নাকে দেখতে যান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীবের নেতৃত্বে বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. আবদুল খালেক সরকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, কলেজ পরিদর্শক কেএম গোলাম রব্বানি।