মহামারিজনিত অর্থনৈতিক সংকট, বেকারত্বের চাপ আর ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বৈষম্যও দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে পার্লামেন্টে মঙ্গলবার বাজেট পেশ করছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার চতুর্থ বাজেট।
সীতারমন এবারও বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছেন কাগজহীনভাবে। দিস্তা দিস্তা কাগজের বদলে বাজেট উপস্থাপন করছেন ট্যাব থেকে। শুরুর দিকেই বলেছেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ওপর সরকারের নজর থাকবে।
ভারতের মহামারি-উত্তর অর্থনীতি তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। হাল অনেকটাই ফিরেছে। কভিডের ধাক্কায় গত অর্থ বছরে জিডিপি প্রায় ৭.৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৯.২ শতাংশ আর্থিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে সরকারি পূর্বাভাস। আপাতত এই বৃদ্ধি অনেকটাই বেশি মনে হচ্ছে। কভিডের আগের বছরের তুলনায় অবশ্য জিডিপির বৃদ্ধি সামান্যই। আর্থিক সমীক্ষায় পূর্বাভাস, আগামী অর্থ বছরে বৃদ্ধির হার ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে।
একদিকে ধেয়ে আসা বেকারত্বের সমস্যা, অন্য প্রান্ত থেকে মূল্যবৃদ্ধির ধারালো দাঁত- এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের মাঝপথে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করছেন। তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ, আর্থিক প্রবৃদ্ধির স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান তোলা। কিন্তু তা করতে গিয়ে আবার রাজকোষ ঘাটতি বাড়ানো চলবে না।
পর্যবেক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হলো, বাজারে কেনাকাটা এখনও কভিডের আগের বছরের তুলনায় কম। তার ওপরে মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দিয়েছে। ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম সামান্য কমলেও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম কমছে না।