ট্রকাগুলোকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সিরিয়ালের নামে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এ সময় অবিলম্বে এ চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তারা। দাবি না মানা হলে রোববার থেকে দুই দেশের আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
কর্মসূচিতে ভোমরা সিএ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও আমদানি রফতানিকারকরা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ভারতীয় পণ্যবাহী গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভোমরার বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের বেসরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে সিরিয়ালের নামে বিভিন্ন পণ্য বিবেচনায় গাড়িপ্রতি ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। যারা এ চাঁদা পরিশোধ করে, তারা অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে আসতে পারে।
ব্যবসায়ী নেতারা আরও বলেন, এই চাঁদাবাজি ও কালক্ষেপণের কারণে বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া পচনশীল পণ্যও ক্ষতির মুখে পড়ছে। এতে ব্যবসায়ী মহলসহ ক্রেতারা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক আমদানিকারক ঘোজাডাঙা বন্দর ত্যাগ করে ভারতের অন্য কোনো বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। ফলে ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে।