দৃশ্যমান হলো দেশের প্রথম মেট্রো রেল লাইন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো মেট্রো রেলের ৬ নম্বর লাইনের উড়াল পথের নির্মাণ কাজ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১৪মিনিটে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর খুঁটির ওপর শেষ গার্ডার বসানো হয়েছে।
এই দুই খুঁটির সংযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পথ দৃশ্যমান হলো।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার উড়াল পথে রেললাইন বসানো হয়েছে।
আজ সকাল ১১টায় ভার্চ্যুয়ালি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ঢাকা মাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, মেট্রো রেলের এমআরটি লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লাইনের ইরেকশন সম্পন্ন হয়েছে। এর সার্বিক গড় অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের মধ্যে কাজ করাই বড় চ্যালেঞ্জ। যারা কর্মরত আছেন তাদেরকেও সংক্রমিত করছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই বড় চ্যালেঞ্জ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের পূর্বের যেসব ব্যবস্থা রয়েছে তা চলমান। ওমিক্রন আসার পর এখন পর্যন্ত শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চলছে। আমাদের টার্গেটের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ ও বাহিরের স্থানগুলোতে যেন স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে চলাফেরা করা যায় সে জন্যই অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সেটি মূল প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় বাড়ার কারণে এই ব্যয়টি বেড়েছে। এতে বেশ কিছু জিনিস সংযুক্ত করতে হয়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কতো টাকা বেড়েছে সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খ জানানো হবে। সব মিলিয়ে প্রকল্পের ব্যয় নতুন করে ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে দ্রুত সময়ে রেল লাইন বসানো হবে।