সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

ইসি নিয়োগে আইন প্রনয়ন না হওয়া শাসকগোষ্টির ব্যর্থতা : জেবেল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন আইন প্রনয়ন করতে পারি নাই, যা এ যাবত কালের সকল শাসকগোষ্টির চরম ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছুই নয় মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই দীর্ঘ সময় পরও সরকারগুলো জণগনের আস্থা অর্জনের মত একটি গ্রহনযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের আহ্বান করতে হয়, যা জাতি হিসাবে লজ্জ্বিত করে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের সংলাপের মধ্য দিয়ে মার্চ কমিটি গঠন ও পরবর্তীতে সার্চ কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধিনে অতিতের মতই ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন,২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচন এবং সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগনকে নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণরুপে আস্থাহীন করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুততে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনী ব্যবস্থাই প্রধান সংকট হিসাবে দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন ছাড়া অর্থবহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বার বার এই কমিশন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্রুততম সময়ে সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নাস্থে আইনের বিধানবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রনয়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখি।

গ্রহযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেন বাংলাদেশ ন্যাপ। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-

(১) নির্বাচন কমিশনকে এশটি আধুনিক ইলেট্রোরাল মেনেজম্যান্ট সিষ্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।

(২) বাংলাদেশের সশস্রবাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সময় এসেছে সশস্রবাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগি শক্তি হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করা।

(৩) বর্তমান বিশ্বে তদারকি (মনিটরিং) ও নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) জন্য নানা বিধ প্রযুক্তি সহজলভ্য। আমরা মনে করি প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গস্খহনের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব। যেমন :- পিপলস্ কাউন্টিং মেশিন, সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা, রের্কিডিং ও লাইফ ষ্টিমিং প্রযুক্তি অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

বাংলাদেশ ন্যাপ’র প্রতিনিধি দলে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ছাড়াও রয়েছেন- দলটির মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া ও মিতা রহমান।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.