কনের বাড়িতে বরযাত্রীরা গেলো মহিষের গাড়িতে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও যাত্রীরা নববধূ নিয়ে বাড়ি ফিরলো একইভাবে। এই ঘটনা ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের তোলা গ্রামের।
এই গ্রামের স্কুলশিক্ষক খুরশিদ শুয়াইব বাবুলের ইচ্ছায় তার পুত্র খুরশিদ সাফাত শুভ্র মহিষের গাড়িতে চেপে করলেন বিয়ে, আনলেন নববধূকে। তার স্ত্রী রিংকি খাতুনের বাড়িও একই গ্রামে। রিংকির পিতার নাম আব্দুল লতিফ। তিনিও একজন শিক্ষক।
জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই শিক্ষক খুরশিদ শুয়াইব বাবুলের ইচ্ছা ছিলো ছেলে খুরশিদ সাফাত শুভ্রকে বিয়ে দিবেন গরুর গাড়িতে করে। তাই সেই ইচ্ছা পুরণেই এমন আয়োজন। সোমবার (৮ মার্চ) হয় তাদের বিয়ে আর মঙ্গলবার (৯ মার্চ) শেষ হয়েছে সকল আনুষ্ঠানিকতা।
আধুনিক যুগে এসে এমন বিয়ের আয়োজন দেখে জেলার প্রত্যন্তপল্লী তোলা গ্রামের বয়স্ক মানুষগুলোও যেন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। বর ও যাত্রীরা যাচ্ছে গরু-মহিষের গাড়িতে, পেছনে মাইকে বাজছে বিয়ের গান। গ্রাম-বাংলার শেকড়ের এমন আয়োজন আর উৎসব দেখতে গ্রামের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বের হয় ঘর থেকে। বাদ যায়নি ঘরের বধূরাও। রাস্তায় যেন ঢল নামে মানুষের, সবার চোখে-মুখে ছিলো উৎসব আমেজ।
বর খুরশিদ সাফাত শুভ্র জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে এমন আয়োজন। বিয়েটি গ্রামবাসীকে একই সূতায় গেঁথেছে, যা তাকে আনন্দিত করেছে।