অব্যাহতির চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গত অক্টোবরেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও বিশেষ কারণে তা প্রকাশ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে গত ২২শে সেপ্টেম্বর মতবিনিময় সভা করে বিএনপি। সে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদেরও। কিন্তু সাক্কু যাননি।
এদিকে, অব্যাহতির কথা স্বীকার করে সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, আমি উত্তর দিয়েছিলাম, সেদিন আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার বৈঠক ছিল। যেদিন বৈঠক তার দুই দিন আগে ঢাকা থেকে চিঠি আসে মিটিংয়ের। সে জন্য আমি যেতে পারিনি।
বিএনপি থেকে মেয়র হয়ে আলোচিত সাক্কু বলেন, দল তাদের। আমি ৪০ বছর বিএনপি করি। পার্টির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তারা যা খুশি তা করুক। আমি আমার মতো চলতাছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় মনোনয়ন পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল মনিরুল হক সাক্কুকে। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্কের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। মনিরুল হক সাক্কু বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ‘তার বাবা মুসলিম লীগের এমপিএ ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সাথে মিশতে পারেন না’ বলে বিএনপির চেয়ারপার্সনকে আশ্বস্ত করেন।
বিএনপি নানা সময়ে দলীয় নানা কর্মসূচি দিলেও মনিরুল হক সাক্কুকে সে সব কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টির ওপর নজর রাখলেও শেষমেশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।