তাদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার কলকাতার আনন্দপুর থানার গুলশান কলোনীর একটি বহুতল ভবন থেকে আটক করা হয় ২০ জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লখনৌ পুলিশের জঙ্গিদমন বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে মাহফুজুর নামে এক মানবপাচারকারী রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানব পাচারে যুক্ত অভিযোগে মফিজুর রহমান নামে এক বাংলাদেশিকে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ধান চালাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের এসটিএফ। সম্প্রতি তাদের কাছের খবর আসে কলকাতায় আত্মগোপন করে আছে মফিজুর।
এরপর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিশের সাথে যৌথ ভাবে আনন্দপুরের গুলশান কলোনি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। আর সেখানেই প্রধান অভিযুক্ত মফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। একাধিক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে তাদের ভুয়া পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট বানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে পাঠিয়ে দিতো বলে মফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে মফিজুরের সন্ধানে এসেই ওই এলাকায় আরও ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের খোঁজ পায় পুলিশ। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় আনন্দপুর থানায়। সেখানে দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তাদের কারো কাছ থেকে ভারতে প্রবেশের কোন বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ঠিক কি কারণে তারা কলকাতায় অবস্থান করছিল, তাও পরিস্কার করে জানাতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃত ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের খোঁজখবর নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে বাংলাদেশ পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করা হবে বলে জানা গেছে।