আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ডা. মুরাদ হাসান যে বিএনপির প্রভাবে প্রভাবিত ছিলেন তা তার কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়েছে। এর আগে, বিতর্কিত মন্তব্য ও কটূক্তির জেরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দল থেকে বহিষ্কৃত হন। সম্প্রতি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহীর কাঁটাখালীর পৌরমেয়র আব্বাস আলীর ভাগ্যেও জোটে একই পরিণতি। এছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীর, প্রতারক সাহেদ, পাপিয়া কাণ্ডে বার বার আওয়ামী লীগ নেতাদের হতে হয়েছে বিব্রত। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য কখনোই ছাড় দেয়া হয়নি, ভবিষ্যৎতেও ছাড় হবে না বলে জানান ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, শুদ্ধি অভিযান অতীতে চলেছে, ভবিষ্যতেও চলবে। যা কুরুচিপূর্ণ, অশালীন এবং জনগণের কাছে যা গ্রহণযোগ্য নয় তা দমন করতে আওয়ামী লীগ কখনই পিছপা হয়নি। ডা. মুরাদ হাসানকে বহিষ্কারের মাধ্যমে সকলের জন্য এটা একটা বার্তা বলেও উল্লেখ করেন বাহাউদ্দিন নাসিম।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কর্মকাণ্ডে দলীয় দলের সভাপতি কাউকে ছাড় দেন না। এমনকি ভবিষ্যতেও কাউকে ছাড় দেবেন না বলেও জানান কামাল হোসেন।
এদিকে, ডা. মুরাদের আগের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে যে কথা উঠেছে তাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ছাত্রদলের নেতাদের যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ তা এখনও আমরা লক্ষ্য করছি। তবে, ডা. মুরাদ দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও সে আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।
নেতারা বলছেন, দলকে যারা বিতর্কিত করবেন তাদের জায়গা আওয়ামী লীগে হবে না।