জাওয়াদ’-এর প্রভাবে গতকাল সারা দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর গতরাত থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। আজও উপকূলীয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামী মানুষ। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। উত্তর বেদকাশী গাতির ঘেরি ও হরিহরপুর গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণার কারণে আজও সেন্ট মার্টিনে আটকা রয়েছে হাজারের বেশি পর্যটক। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ‘জাওয়াদ’। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোয়। পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ওড়িশা উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বে সরেছে। এবং ১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে। আগামী ছয় ঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে পার হবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল।