এরমধ্যেই বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ দোরগড়ায়। এবার অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাই অতীত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় নেমে এ বছরের ছাব্বিশে মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাণ্ডবে মেতে ওঠে হেফাজতে ইসলাম। সেই সহিংসতা ছড়ায় ঢাকার বাইরেও। ঝরে যায় ঊনিশ জনের প্রাণ, আহত হয় পাঁচশোর বেশি মানুষ।
মার্চের সহিংসতায় ১৫৪টি মামলায় এক লাখের বেশি আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয় প্রায় তেরোশো’ জন। জামিনে বেরিয়েছে পাঁচশোর বেশি। এরইমধ্যে কেটে গেছে প্রায় নয় মাস। শেষ হয়নি একটি মামলারও তদন্ত। তবে পুলিশের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পাওয়া মাত্রই অভিযোগপত্র দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. ফারুক হোসেন বলেন, শুধু হেফাজতই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা এই সময়ের বিশৃঙ্খলায় অংশ নিয়েছিল তাদের নামেও আমরা চার্জশিট দিব। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। অচিরেই এই মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ হবে।
হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেক মামলা হয়েছে। আমরা সরকারের উচ্চ মহলে এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাব।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাণ্ডবের দগদগে স্মৃতির মধ্যেই বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে জাতি। অতিথি হয়ে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এবারও কি ভারত বিরোধিতার নামে রাজপথে নামতে পারে ক্বওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটি?
মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, সামনে ১৬ই ডিসেম্বর। এই সময়ে অতিথিদের আগমনকে কেন্দ্র করে যারাই দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব এবং কঠোর হাতে তাদেরকে আমরা দমন করবো। অনুষ্ঠান চলার সময় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না, সে অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।