দেশের ভাস্করদের প্রেরণা যোগানোর লক্ষ্যে জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। সারাদেশ থেকে অংশ নেওয়া ১০৭ জন শিল্পীর ১১৪টি ভাস্কর্য নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীদের মধ্য থেকে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট।
বিজয়ী তরুণ ভাস্করদের মতে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রাণ ফিরে পাবে এই ভাস্কর্য শিল্প মাধ্যম।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ভাস্কর পুতুল ডিবিসি নিউজকে বলেন, গ্যালারিগুলো খুব বেশি একটা তরুণ শিল্পীদের নিয়ে ভাবেনা। এবং তাদের কাজগুলোও সংগ্রহ করে না। বাংলাদেশে ভাস্কর্য শিল্প নিয়ে সেরকম কোন সুযোগ নেই, যা দিয়ে একজন শিল্পী তার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে এবং তার শিল্পের অনুশীলন করতে পারবে।
ভাস্কর্যবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষা ও স্কলারশিপের অভাব থাকায় তরুণদের জন্য এই শিল্পধারায় আত্ননিয়োগ কষ্টসাধ্য বলে ভাবছেন তারা।
ভাস্কর সামিউল আলম বলেন, অনেক শিল্পীরাই আছেন অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে ভাস্কর্য শিল্প থেকে সরে যাচ্ছেন। সৃজনশীল শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং সামনের দিকে নিয়ে আসার জন্য সরকার যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই তরুণ ভাস্করদের মতে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও কাজের ক্ষেত্র না থাকায় এই বিষয়ে পড়ালেখা করেও অনেক শিল্পীই বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন পেশা।
তারা আরও জানান, একজন শিল্পীর যে সহযোগিতা প্রয়োজন সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব কম।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখা ভাস্কর্য শিল্পকে বাঁচাতে তাই রাষ্ট্রের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি বলে দাবি জানাচ্ছেন তরুণ ভাস্কররা।