পুলিশের পকেট কাটতে সাজেন পুলিশেরই কর্মকর্তা। ধাপে ধাপে সারেন প্রতারণা। প্রথমে ট্রিপল নাইনে ফোন করে যোগাড় করেন পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর। এরপর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নেন বিভিন্ন থানার মুন্সীর নম্বর। মুন্সীর কাছ থেকে নেন বদলির জন্য আবেদনকারী কনেস্টবল ও এএসআইদের তালিকা। তারপর তালিকা ধরে ফোন করে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় বদলির প্রতিশ্রুতিতে দাবি করেন টাকা। আট বছরে কোটি টাকা হাতানো প্রতারক আল আমিন এ নিয়ে ধরা পড়েছেন পাঁচবার।
ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত এএসআই ফরিদ ও নায়েক উচ্চদেব। পুলিশ সদরদপ্তরের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্টের ইন্সপেক্টর পরিচয়ে দু’জনকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। বলেন, স্ট্যান্ড রিলিজ করে তাদেরকে এপিবিএনে বদলির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঘুষ দিলে ঠেকানো যাবে বদলি।
প্রতারণার অভিযোগে ধরা পড়েন আল আমিন নামের এক ব্যক্তি। কখনও এআইজি, কখনও ইন্সপেক্টর পরিচয়ে কনেস্টবল থেকে এএসআইদের বদলির হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
প্রতারক আল আমিন বলেন, আমি প্রথমে কারা কারা পোস্টিং এর জন্য আবেদন করেছে তাদের তালিকা বের করি। তারপর ফোন দিয়ে আমার পরিচয় চাইলে আমি আমাকে ইন্সপেক্টর কালাম পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে বলছি বলে জানাই। আমি একজন ইন্সপেক্টর এর সাথে থাকতাম উনি মারা গেছে। আমি এসব করে কিছু সম্পত্তি করেছি।
পুলিশ সেজে আট বছর ধরে পুলিশ সদস্যদের পকেট কোটি টাকার বেশি হাতিয়েছেন আল আমিন। দু’হাজার ষোলো থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে ফের প্রতারণাতেই ফিরেছেন তিনি।