পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজুমল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, কয়েকটি দেশে ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং শনাক্ত হওয়া অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
এছাড়া অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার কথাও। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।