অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। কিন্তু সড়কে তারা বেপরোয়া। দুই সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিদের দাবি, পরিবহণ সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা।
ছয় বছর চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করে এখন দিব্যি নিজেই দক্ষিণ সিটির বর্জ্যবাহী গাড়ির চালকের আসনে বসে গেছেন রাসেল। ভারী যান চালালেও ভারী যানের ড্রাইভিং লাইসেন্স তো দূরের কথা তার কাছে পাওয়া গেলো না কোনো লাইসেন্সই। তবে পাওয়া গেছে অজুহাত।
ছয় বছর চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করে ড্রাইভিং শেখার দাবি করে রাসেল নামে একজন। তিনি বলেন, তার লাইসেন্স রয়েছে তবে তা বাড়িতে ভুলে ফেলে এসেছেন।
অন্যান্য চালকদের কাছে লাইসেন্স মিললেও তার কোনটিই ভারী যান চালানোর জন্য নয়। হালকা যানের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েই তারা বেপরোয়া ছুটে চলেন ভারী যানবাহন নিয়ে।
কোন ড্রাইভারই তাদের লাইসেন্স দেখাতে পারেন নি। দেখিয়েছেন একের পর এক অজুহাত।
উত্তর সিটি করপোরেশনের চিত্রও একই রকম। কোন ময়লার গাড়িতেই পাওয়া গেলনা সিটি করপোরেশনের স্থায়ী চালককে। কেউ বিনা বেতনে, কেউ দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। আর তাদের কারও কাছে পাওয়া গেলনা ভারী যান চালানোর লাইসেন্স।
দুই সিটি করপোরেশনে শুধু ময়লার গাড়িই আছে সাড়ে পাঁচশোর মত। আর ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই নব্বই শতাংশ চালকের। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সর সমস্যাই নয়, অনেক গাড়িরই নেই ফিটনেস। কিন্তু এসব গাড়ি চালকদের বেপরোয়া চালানোর শিকার হতে হয় নাইম, আহসান কবীরদের।
দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে নেয়া পদক্ষেপের কথা জানালেন দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ মুঠোফোনে বলেন, ‘শূণ্যপদ পূরণ করা যাচ্ছে বলেই অনভিজ্ঞ চালক দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।’
শিগগিরই দক্ষ চালক নিয়োগের আশ্বাস দিলেও বাস্তবতা বলছে- যে পরিমাণ শূন্য পদ রয়েছে তার অর্ধেকও পূরণ করা সম্ভব হবেনা দুই সিটির।