দিনাজপুরে শহরের পুলহাট এলাকায় ১৯৬২ সালে ৩৫ দশমিক ১৪ একর জমি নিয়ে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠে। এর ২৮ দশমিক ৭৪ একর জায়গায় তৈরি ১৫৯টি প্লটই বরাদ্দ দেওয়া। যেগুলোতে ৫৪টি চালকল গড়ে ওঠে। মামলার কারণে ২টি ছাড়া সবগুলো চালকল চালু আছে। যেগুলোতে প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করছেন।
দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, এসএমই খাতের ঋণ সহায়তার মাধ্যমে ছোট ছোট শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিসিকের নতুন প্লট বরাদ্দ দেয়া দরকার।
চালকল মালিক আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, দিনাজপুরের যারা উদ্যোক্তা আছেন, তারা ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র শিল্পের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। বিসিক ব্যবসায়ীদেরকে নতুন করে প্লট বরাদ্দ দিলে বিভিন্ন ছোট ছোট শিল্প গড়ে উঠতে সহায়তা হবে।
জুট মিল মালিক জর্জিস আনম বলেন, এসএমই খাতে ঋণের কারণে ছোট ছোট অনেক শিল্প গড়ে উঠতে পারে। যার জন্য বিসিকের অনেক প্লট প্রয়োজন। সরকার বা বিসিক থেকেই নজর দেয়া উচিত যেন প্লটের ব্যবস্থা করা হয়।
দিনাজপুর চেম্বার সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী জানান, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ও সম্ভবনাময় নতুন নতুন শিল্প ইউনিট গড়ে তুলতে বিসিকের নতুন করে চিন্তা করা দরকার।
আগ্রহী উদ্যোক্তা থাকলেও প্লট খালি না থাকায় সেখানে নতুন করে আর শিল্প ইউনিট গড়ে তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দিনাজপুর বিসিক কর্তৃপক্ষ। বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুন বলেন, ‘৩৫ একর জমিতে ৫৪ টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এরপরে আর জায়গা খালি নেই। আরও একটা নতুন শিল্প নগরী হওয়া এ জেলার জন্য খুবই জরুরী। তাহলে নতুন উদ্যোক্তারা তাদের শিল্প কারখানা গড়ে তোলার সুযোগ পাবেন।
দিনাজপুর বিসিক শিল্প নগরীতে সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র শিল্প ইউনিট গড়ে তুলতে নতুন করে প্লট তৈরি করে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।