বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুজব আমাদের কানেও এসেছে। তবে এগুলো সত্য নয়, আপনারা গুজবে কান দিবেন না। তার অবস্থার আর অবনতি না হলেও তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এখনও তার লিভার, কিডনি এবং হার্ট ভালোভাবে কাজ করছেনা। এছাড়াও তার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ভালোভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। হাসাপাতালের চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়াকে বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সরকারকে বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার মানবিক আচরণ করলে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখনও আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এর আগেই এ বিষয়ে কয়েকবার কথা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বারবার অনুরোধ করেছি যেন মানবতার দৃষ্টিতে হলেও তিনি বিষয়টি বিবেচনা করেন।
এদিকে, ২৭ দিন পর বাসায় ফেরার কয়েকদিনের মধ্যেই গেল ১৩ নভেম্বর আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর আরও তিন দফায় তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।