প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া মাথাপিছু আয় ও মোট জিডিপিসহ সব তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। অর্থনীতির ভিত্তি বছর সংশোধন করেছি। আমরা ছিলাম ২০০৫-০৬ সালে। এখন ভিত্তি বছর ২০১৫-১৬ বছরে নিয়ে এসেছি। এতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। মোট জিডিপির আকার ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। যা টাকার অংকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮০ টাকা।
একনেক বৈঠকে ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ১ম সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়াল ৫১ হাজার ৮শ’ ৫৪ কোটি টাকা।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ প্রকল্প। আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্তায় উন্নীতকরণ প্রকল্প।
নড়াইল শহরাংশের জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। এস্টাবিলিশমেন্ট ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প। রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-২ প্রকল্প। সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। খুলনা জেলার পোল্ডার নং-১৪/১ পুনর্বাসন প্রকল্প। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ প্রকল্প। মাতারবাড়ি ২ গুণ ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোর ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট।