রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়। এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। গত ১২ই অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ৪ঠা আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় রেব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আজ সোমবার (১৫ই নভেম্বর) সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
এদিন পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬শে অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম চার্জশিট গ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এদিন পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন আদালতের মূল বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় চার্জশিট আমলে নেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক আজ (১৫ই নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।
গত ৩১শে আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এ চিত্রনায়িকা।
তার আগে ৪ঠা আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।