জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কাটা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ আমির হোসেন আমু এমপি।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহআলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগসাধারণ সম্পাদক তুরুন কুমার কর্মকার বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদর, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ মধু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগ এবং এর অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত ইতিহাসের সাক্ষী ও নানা সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকে অনবদ্য নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন তিনি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সহচর, মুজিবকন্যা, আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শেখ হাসিনাকে দলের নেতৃত্বে আনা থেকে তার নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠায় বিশ্বস্ত সহচর।
জীবনের বাঁকে বাঁকে জেল নির্যাতন সয়ে,আন্দোলন সংগ্রাম বেগবানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সেনা শাসনবিরোধী আন্দোলনের দাপুটে নেতা আমির হোসেন আমুকে বলা হতো মিস্টার ডিসিমান।
মুক্তিযুদ্ধের বীর সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর অন্যতম আমির হোসেন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদের চরিত্রই ধারণ ও লালন করেন। ভোগ-বিলাসহীন গণমুখী চরিত্রই তার জীবনের অলংকার। কর্মীবান্ধব চরিত্রই তাকে যেমন জনপ্রিয়তা দিয়েছে, তেমনি প্রখর চিন্তাশক্তি ও দূরদর্শীতে তাকে আলোকিত করেছে। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হলেও রাজনৈতিক জীবনে সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক।
১৯৪১ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝালকাঠির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম এই নেতার। আমির হোসেন আমু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন।
১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হন। আমির হোসেন আমু ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।