১৮শ’ শতকের শুরুতে খাদি কাপড় বুননের কাজ শুরু হয় কুমিল্লার ময়নামতি,দেবিদ্বার,মুরাদনগর ও চান্দিনায়। সময়ের পরিবর্তনে পোশাক শিল্পে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কিন্তু এর সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছে না হাতে বোনা কারিগরদের এ শিল্প।
বেশ কিছু খাদি কারিগরেরা জানান, অনেক সময় সুতা পাওয়া যায় না, তাই সুতার অভাবে কাজ বন্ধ থাকে। অনেক উন্নত অত্যাধুনিক মেশিন বের হওয়ার কারণে হাতে বোনা কারিগরদের রেট খুব আসে। এজন্য দিনে দিনে তাঁত লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এত নিম্ন মজুরী দিয়ে সংসার চলে না।
যুগের চাহিদার সাথে মানানসই পোশাকের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের। ক্রেতারা জানান, খাদি শিল্পে হাতে বোনা কারিগরেরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। কাঁচামালের পর্যাপ্ত মুল্য তারা দিতে পারছেনা।
এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, ‘হাল ফ্যাশনের সাথে পাল্লা দিয়ে খাদির বেঁচাকেনা বাড়লেও ঐতিহ্যটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে খাদি পোশাকে আনতে হবে বৈচিত্র্য’। তারা আরও জানান, বিভিন্ন বুটিকস হাউজের সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছেনা এই খাদি শিল্প। তাই দিন দিন খাদি শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারা নতুনত্ব আনতে পারছেনা। মূলধনের অভাবে উৎপাদন করতে পারছেনা।
কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যের খাদি যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাতে বোনা এই খাদি কারিগরেরা।