বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি আদালত গ্রহণ করে সমন জারি করেছেন। একইসঙ্গে, বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।
জেমসের দুখিনী দুঃখ করোনাসহ ৬টি এবং ‘নীলা তুমি’ এবং ‘ফিরিয়ে দাও’ নামে মাইলস ব্যান্ডের দু’টি গান অনুমতি ছাড়াই ১৪ বছর ধরে ওয়েলকামটিউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো বাংলালিংক। নগরবাউলের পক্ষ থেকে ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের পক্ষ থেকে বাদী হয়েছে শাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ।
শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী জানান, নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এই দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৬ই আগস্ট গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরও তারা তা সরিয়ে নেয়নি। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা আদালতে বিচারের জন্য এসেছি।
এর আগে, গেল ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করতে আদালতে গেলে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের গুলশান থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। সেদিন বিচারকের পরামর্শ নিয়ে আদালত ত্যাগ করেন জেমস। পরে থানায় মামলায় না নেয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হলেন পপ তারকা জেমস, শাফিন ও হামিন আহমেদ।